ফৌজদারি আইনে শাস্তি নিশ্চিতকরণে তিনটি মৌলিক বিষয় প্রমাণ করতে হয়। মানব পাচার মামলার বিচার করতে গিয়ে ঘটনার তারিখ, সময়, স্থান সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারেন না সাক্ষী ও ভিকটিম। ফলে অনেক সময় অপরাধী খালাস পেয়ে যায়। বিচার নিশ্চিতে তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় জড়িতদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে অনেক সীমাবদ্ধতাও আছে। সাক্ষীদের জন্য কোনো সম্মানী (খরচ) বাবদ বরাদ্দ নেই। ফলে সাক্ষীদের হাজির করা কঠিন হয়ে যায়। এ জন্য সাক্ষীদের জন্য সম্মানী বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।
বুধবার বিকালে যশোরে মানব পাচারের শিকার ভিকটিমদের আইনি সেবা নিশ্চিতকরণ বিষয়ক পরামর্শ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রাইটস যশোর ও আহ্ছানিয়া মিশন আয়োজিত জজ আদালতের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন যশোরের স্পেশাল জেলা জজ সামছুল হক। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক।

সভায় বক্তারা আরও বলেন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও রিক্রুটিং এজেন্সিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে না পারলে মানব পাচার প্রতিরোধ সম্ভব নয়। একই সাথে তহবিল গঠন করতে হবে। অভিবাসীদের চুক্তিনামায় কি লেখা থাকে সেটি না দেখেই বিদেশে পাড়ি দেন। এজন্য অভিবাসীদের পক্ষে চুক্তিনামায় জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরের ব্যবস্থা করা হোক। আর বিদেশে পাঠানো অভিবাসীদের মনিটরিংয়ে জনশক্তি রপ্তানি ব্যুরোর মনিটরিং বাড়াতে হবে।একই সাথে দূতাবাসের মনিটরিং বাড়াতে হবে। তাহলে মানব পাচার প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

সভায় বক্তব্য রাখেন নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল জেলা জজ গোলাম কবীর, যশোরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ভারপ্রাপ্ত) মারুফ আহমেদ, যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাইফুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি শরীফ নূর আলী রেজা, পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল ও সেতারা খাতুন।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক ও আহছানিয়া মিশনের প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম।